Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
  • ০১. অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুল হক

 

জন্মতারিখ : ৮জুলাই, ১৯২০ সাল

 

জন্মস্থান:

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানায় রায়হানপুর গ্রা্রম

 

শিক্ষাগত পরিচয় :

নিজ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ঝালকাঠী সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক বরিশাল বি এম কলেজ থেকে বিএসসি পাশকলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস ডিগ্রি লাভচাকরিরত থাকা অবস্থায় ১৯৫৬ সনে লন্ডন থেকে ক্যান্সারের উচ্চ ডিগ্রি ডি এম আর টি এবংঢাকা থেকে এফসিপিএস লাভ করেন

 

কর্ম জীবন :

মেডিকেল কলেজে রেডিওথেরাপী বিভাগে অধ্যাপনা১৯৭৮ সনে অবসর গ্রহণ করার পর লিবিয়া আল ফাতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ বছর কাল রেডিওথেরাপীর অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনার কাজ করেন।

 

সামাজিক কর্মকান্ড:

  • স্কুলে ব্রতচারী ও বয়েজ স্কাউট,কলেজে সেন্ট জন এ্যাম্বুলেন্স বিগ্রেড ও মেডিকেল কলেজে ইউ ও টি সিতে যোগদান করেন পকিস্তানের জন্মের পূর্বে কলকাতায় পাকিস্তান এ্যাম্বুলেন্স কোর গঠনকর্মজীবনের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে পর্যাক্রমে যুগ্ম সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সাধারণ সম্পাদক ওসভাপতির পদমর্যাদায় থেকে পাকিস্তান মেডিকেল এসোসিয়েশন (ইস্ট জোন) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।শিক্ষা- বিস্তারে আগ্রহী ডাক্তার হক তাঁর নিজ এলাকায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ও নিজ অর্থেকলেজ গড়ে তুলেছেন। কলেজের নাম সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ।এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত থেকে বাংলাদেশ ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
  • তিনি একজন বিশিষ্ট রোটারিয়ান ছিলেন।মহাখালীতে রোটারী ক্যান্সার ডিটেকশন সেন্টার ও ক্যান্সার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় তাঁর বিশেষ অবদান উল্লেখ না করে উপায় নেই। তাঁর জীবনের শেষ বাসনাছিলএকটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ।
  •  

উল্লেখযোগ্য পদক:

বরিশাল বিভাগ সমিতি কর্তৃক চিকিৎসা ক্ষেত্রে শের-ই- বাংলা পদক ৯৫,

চন্দ্রদীপ (বরিশাল) সাংস্কৃতিক সংস্থার গুণীজন পদক ৯৫,

বরগুনা সমিতি কর্তৃক শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুণীজন পদক ৯৫

তামাক বিরোধী আন্দোলনের জাতীয় সংস্থা আধুনিক কর্তৃক বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসপদক ‘৯৬’

হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ কর্তৃক চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুণীজন সম্মাননা পদক ২০০০ এবং

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট কর্তৃক সম্মাননা পদক ২০০০।

  •  

ব্যক্তি জীবন:

ডাক্তার হকেরু জীবনসংগিনী সাজেদা হক একজন সফল মা ।তাঁদের ছয় মেয়ে - বড় মেয়ে মনোবিজ্ঞানে ডক্টরেট ।একটি আন্তজাতিকসংস্থায় কর্মরতআছেন।তিন মেয়ে ডাক্তার এবং বাকী দুটি অনার্সের পরে মাস্টার্স করেছে । ডাক্তার হকের দাদা জনাব সৈয়দ রায়হান উদ্দিন ছিলেন এলাকার বর্ষীয়ান নামজাদা ব্যক্তিত্ব, তাঁর নাম অনুসারে এলাকার নামকরণ হয়েছে রায়হানুর। অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুল হক একজন সুপরিচিত প্রবীণ চিকিৎসক এবং বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ করে ক্যান্সার বিষয়ে তাঁর অবদান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একান্তাভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

বাংলার এই কৃতী সন্তান ২০০৫ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারীতে ইন্তেকাল করেন।

 

  • ০2. জনাব সেলিনা হোসেন

 

পিতা:  এ. কে. মোশাররফ হোসেন

মাতা:  মরিয়মেন্নেসা বকুল

স্বামী:  আনোয়ার হোসেন খান

বৈবাহিক অবস্থা:  বিবাহিত

 

স্থায়ী ঠিকানা:

গ্রাম- ভাইজোড়া, ডাকঘর- ডৌয়াতলা, উপজেলা- বামনা, জেলা- বরগুনা

বর্তমান ঠিকানা:

বাড়ি - ১৬/এ, রোড - ২, শ্যামলী, ঢাকা - ১২০৭

জন্ম:

১৪ জুন, ১৯৪৭

জন্মস্থান:

রাজশাহী

জাতীয়তা:

বাংলাদেশী

শিক্ষা :

এম.এ. (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৬৮

পেশা:

নির্বাহী পরিচালক, ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশন, ঢাকাসাবেক পরিচালক, বাংলা একাডেমী।বর্তমানে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত

প্রকাশিত গ্রন্থ :

উপন্যাস- ২৯টি, গল্পগ্রন্থ -১১টি, প্রবন্ধ-৭টি,শিশুসাহিত্য- ১৭টি

 

­­­­­­­­­­­­­­­­উপন্যাস :

জলোচ্ছ্বাস (১৯৭২); জ্যোস্নায় সূর্যজ্বালা (১৯৭৩); হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৭৬); মগ্ন চৈতন্যে শিস(১৯৭৯); যাপিত জীবন (১৯৮১);নীল ময়ুরের যৌবন (১৯৮২); পদশব্দ (১৯৮২); চাঁদ বেনে (১৯৮৪); পোকামাকড়ের ঘরবসতি (১৯৮৬); নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি (১৯৮৭); ক্ষরণ (১৯৮৮); কাঁটাতারে প্রজাপতি(১৯৮৯); খুন ও ভালোবাসা (১৯৯০); কালকেতু ও ফুল্লরা (১৯৯২); ভালোবাসা প্রীতিলতা(১৯৯২); টানাপোড়েন (১৯৯৪); গায়ত্রী সন্ধ্যা- এক (১৯৯৪); গায়ত্রী সন্ধ্যা- দুই (১৯৯৫);গায়ত্রী সন্ধ্যা- তিন(১৯৯৬); দীপান্বিতা (১৯৯৭); যুদ্ধ (১৯৯৮); লারা (২০০০); মোহিনীর বিয়ে (২০০১); কাঠ কয়লার ছবি(২০০১); আনবিক অাঁধার (২০০৩); ঘুম কাতুরে ঈশ্বর (২০০৪); মর্গের নীল পাখি (২০০৫); অপেক্ষা (২০০৭); দিনের রশিতে আশ্চর্য গিটঠু (২০০৭); মাটি ও শস্যের বুনন (২০০৭); পূর্ন ছবির মগ্নতা (২০০৮)

 

গল্প :

উৎস থেকে নিরন্তর (১৯৬৯); জলবতী মেঘের বাতাস (১৯৭৫); খোল করতাল (১৯৮২); পরজন্ম (১৯৮৬); মানুষটি (১৯৯৩); মতিজানের মেয়েরা (১৯৯৫); অনূঢ়া পূর্ণিমা (২০০৮); সখিনার চন্দ্রকলা (২০০৮); একালের পান্তাবুড়ি (২০০২); অবেলার দিনক্ষণ (২০০৯); নারীর রূপকথা (২০০৭)

 

শিশু-কিশোর সাহিত্য :

সাগর (১৯৯১); বাংলা একাডেমী গল্পে বর্ণমালা (১৯৯৪); কাকতাড়ুয়া (১৯৯৬); বর্ণমালার গল্প(১৯৯৭); আকাশ পরী (২০০১); অন্যরকম যাওয়া (২০০১); যখন বৃষ্টি নামে (২০০২); জ্যোৎস্নার রঙে আঁকা ছবি (২০০২); মেয়রের গাড়ি (২০০৩); মিহিরুণের বন্ধুরা (২০০৪); রংধনু (সম্পাদনা) (২০০৪); এক রুপোলি দিন (২০০৫); গল্পটা শেষ হয় না (২০০৬); বায়ান্নো থেকে একাত্তর (২০০৬); চাঁদের বুড়ির পান্তাইলিশ (২০০৮); মুক্তিযোদ্ধারা (২০০৯); সোনারতরীর ছোট মণিরা (২০০৯)

 

প্রবন্ধ :

স্বদেশে পরবাসী (১৯৮৫); ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন (১৯৮৫); একাত্তরের ঢাকা (১৯৮৯); নির্ভয় করো হে (১৯৯৮); মুক্ত কর ভয় (২০০০); ঘরগেস্থিতে রাজনীতি (২০০৮); নিজেরে করো জয় (২০০৮)

 

সম্পাদনা :

নারীর ক্ষমতায়ন: রাজনীতি ও আন্দোলন (যৌথ) (২০০৩); ইবসেনের নারী (২০০৬); ইবসেনের নাটক ও কবিতা (২০০৬); জেন্ডার বিশ্ব কোষ (যৌথ) (২০০৬); বাংলাদেশ নারী ও সমাজ (যৌথ) (২০০৭); জেন্ডার ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন (যৌথ) (২০০৭); সাহিত্যে নারীর জীবন ও পরিসর (যৌথ) (২০০৭); জেন্ডার আলোকে সং&স্কৃতি(যৌথ) (২০০৭); পুরুষতন্ত্র নারী ও শিক্ষা (যৌথ) (২০০৭); দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদী গল্প (যৌথ) (২০০৮); জেন্ডার ও উন্নয়ন কোষ (২০০৯)

২২বছরধরেবাংলাএকাডেমীথেকেপ্রকাশিতশিশু-কিশোরপত্রিকা ‘ধান শালিকের দেশ’ সম্পাদনা। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ‘ছোটদের অভিধান’-এর অন্যতম সম্পাদক।

 

ইংরেজি অনুবাদ :

Selected Short Stories of Selina Hossain.2007;The Shark The River & The Grenades.1987; Warp and Woof. 1999; Plumed peacock. 2009।

পুরস্কার:

ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক (১৯৬৯); বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০); আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১); ফিলিপ্স্ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮); লেখিকাসংঘ স্বর্ণপদক (১৯৮৯); অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪); অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪); বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৭); দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্যে ‘রামকৃষ্ণ জয়দয়াল হারমোনি অ্যাওয়ার্ডস’, দিল্লি (২০০৬); একুশে পদক পুরস্কার (২০০৯)

 

ফেলোশীপ

ব্রিটিশ কাউন্সিল ফেলোশীপ (শিক্ষা) লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৪);

ফোর্ড ফাউন্ডেশন (উপন্যাস, ১৯৯৪-৯৫); সিনেট মেম্বার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

পাঠ্যসূচিতে গ্রন্থ:

‘যাপিত জীবন’ উপন্যাস রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’উপন্যাসযাদবপুরবিশ্ববিদ্যালয়েপাঠ্য ।আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হয়েছে গায়ত্রী সন্ধ্যা, নীল ময়ূরের যৌবন ও হাঙর নদী গ্রেনেড। এইবিশ্ববিদ্যালয়েএমফিল থিসিস হয়েছে তাঁর উপন্যাস নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের ওকটন কমিউনিটি কলেজে ২০০৬ সালের দুইসেমিস্টারেপাঠ্য ছিল হাঙর নদী গ্রেনেড উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ The Shark The River and The Grenade।

সেমিনার:

বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

ভ্রমণ: 

মালয়শিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, আমেরিকা, জার্মান, কানাডা, ক্যাম্বোডিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া।

 

  • ০৩. শাহজাদা আবদুল মালেক খান

শাহজাদা আবদুল মালেক খান বরগুনা জেলার বেতাগী থানার কাউনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আবি আবদুলাহ খান অবিভক্ত বাংলার পটুয়াখালী মহকুমা থেকে এম. এল. এ নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ সনে বরিশাল বি. এম কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মময় জীবন শুরু হয়। ১৯৬১ সালে বরিশালে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে পাথরঘাটা–বরগুনা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে অসহযোগ আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা ও কাঠালিয়া থানার নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার পর মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৩ সনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমানের মন্ত্রীপরিষদের শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। ১ এপ্রিল ২০০৭ তিনি পরলোক গমন করেন।